ফুলের দোকান - Business Ideas

Latest

New Business Ideas, Business Plans, Online Business Ideas, Smart Business Ideas.

BANNER 728X90

মঙ্গলবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২১

ফুলের দোকান

 



ফুল পছন্দ করে না এরকম মানুষ খুঁজে পাওয়া অসম্ভব। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গৃহসজ্জার জন্য মানুষ ফুল ব্যবহার করে থাকে।এছাড়া প্রিয়জনকেও ফুল উপহার দিয়ে থাকে। নানান অনুষ্ঠানে অনেক বেশি পরিমাণে ফুলের প্রয়োজন হয়। এই ফুলের যোগান দিয়ে থাকে ফুলের দোকান।আমাদের দেশের প্রায় সকল ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠানে ফুল ব্যবহার করা হয়।আমাদের দেশের বিভিন্ন  এলাকায় বানিজ্যিক ভিত্তিতে ফুল উৎপাদন করা করা হয়।এসব এলাকা থেকে ফুল কিনে এনে বিক্রি করা যায়। এছাড়া শহরের বড় বড় ফুলের দোকানগুলো থেকে পাইকারী দামে ফুল কেনা যাবে।ফুলের দোকান দিয়ে বেকার নারী-পুরুষ যে কেউ তার কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারেন।নানান অনুষ্ঠানে অনেক বেশি পরিমাণে ফুলের প্রয়োজন হয়। এই ফুলের জোগান দিয়ে থাকে ফুলের দোকান।আমাদের দেশের প্রায় সকল ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠানে ফুল ব্যবহার করা হয়। সাধারণত সারাবছরই ফুলের চাহিদা থাকে।বিশেষ করে শীতকালে বিয়ে, গায়ে হলুদ, নানান সামাজিক অনুষ্ঠান, সভা ইত্যাদি বেশি থাকে বলে এই সময় ফুলের চাহিদাও বেশি থাকে।এছাড়া গৃহসজ্জার কাজেও সৌখিন মানুষ ফুল কিনে থাকে। ফুলের দোকান দেবার জন্য উপযুক্ত স্থান নির্বাচন করতে হবে।বাজারের কেন্দ্র বা যে সব স্থানে লোকসমাগম হয় সে রকম স্থানে ফুলের দোকান দিতে হবে।বাজার সম্ভাবনাসাধারণত সারাবছরই ফুলের চাহিদা থাকে।বিশেষ করে শীতকালে বিয়ে, গায়ে হলুদ, নানান সামাজিক অনুষ্ঠান, সভা ইত্যাদি বেশি থাকে বলে এই সময় ফুলের চাহিদাও বেশি থাকে।এছাড়া গৃহসজ্জার কাজেও সৌখিন মানুষ ফুল কিনে থাকে।স্থান নির্বাচনফুলের দোকান দেবার জন্য উপযুক্ত স্থান নির্বাচন করতে হবে।বাজারের কেন্দ্র বা যে সব স্থানে লোক সমাগম হয় সে রকম স্থানে ফুলের দোকান দিতে হবে।ফুলের দোকানের সামনে দোকানের নাম দিয়ে একটি সাইনবোর্ড দিতে হবে,তাহলে সহজেই তা ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে। সাধারণত শহরে ফুলের ব্যবসা ভালো চলে।মূলধনফুলের দোকান দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় স্থায়ী উপকরণ কিনতে ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকার প্রয়োজন হবে।ফুল সাজানোর জন্য এক সপ্তাহের প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ টাকার প্রয়োজন হবে।এছাড়া প্রতি সপ্তাহে ফুল কেনার জন্য ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা বিনিয়োগ করতে হবে।দোকান ঘর ভাড়া নিতে চাইলে দোকান ঘরের পজিশন ও ভাড়া বাবদ আরও কিছু টাকার প্রয়োজন।যদি ব্যক্তিগত পূঁজি না থাকে তাহলে মূলধন সংগ্রহের জন্য নিকট আত্মীয়স্বজন, ঋণদানকারী ব্যাংক বা বেসরকারি

প্রতিষ্ঠানের (এনজিও) সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে।

এসব সরকারি, বেসকারি ব্যাংক ও বেসরাকারি প্রতিষ্ঠান (এনজিও) শর্তসাপেক্ষে ঋণ দিয়ে থাকে।

প্রশিক্ষণ

ফুলের দোকান দেওয়ার জন্য তেমন কোন প্রশিক্ষণের প্রয়োজন নেই।

তবে অভিজ্ঞ কারোও সাথে যোগাযোগ করে ফুলের ব্যবসা সংক্রান্ত খুঁটিনাটি জানা যাবে।

ফুলের দোকান পরিচালনার নিয়ম

দোকান নির্বাচন করার পর দোকানে কাঠের শেলফ্ বা তাকগুলো দেয়াল ঘেঁষে সাজিয়ে নিতে হবে।

শেলফ্ এর উপর মাটি বা কাঁচের ফুলদানিতে ফুল সাজিয়ে রাখতে হবে।

একেক ফুলদানীতে একেক ফুল রাখতে হবে। এছাড়া বেত বা বাঁশের ঝুড়িতে কিছু ফুল বিক্রয়ের জন্য সুন্দর করে সাজিয়ে রাখতে হবে।

ফুল টাটকা ও সতেজ রাখার জন্য ফুলের উপর মাঝে মাঝে পরিস্কার পানি ছিটিয়ে দিতে হবে।

যে এলাকায় যেসব ফুলের চাহিদা বেশি থাকে সেসব ফুল বেশি রাখতে হবে।

গোলাপ, রজনীগন্ধা, গাঁদা ইত্যাদি ফুল সাধারণত নানান অনুষ্ঠানে ঘর ও গাড়ী সাজানোয় বেশি ব্যবহার করা হয়।

তাই এই সব ফুল বেশি পরিমাণে রাখতে হবে। এর পাশাপাশি নতুন ধরণের কিছু ফুল রাখলেও তা ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে।

বর্তমানে শহরে গ্লাডিওলাস, অর্কিড,দোলনচাঁপা ইত্যাদি ফুলের চাহিদা বেড়েছে।

তাই এই ফুলও বেশি পরিমাণ রাখা যেতে পারে। স্থান বুঝে ফুল রাখতে হবে।

যে সব ফুল সহজেই নষ্ট হয়ে যায় সে সব ফুল কম পরিমাণে রাখাই ভালো।

দোকানে ফুল দিয়ে ঘর সাজানো, গাড়ি সাজানো বা নানানভাবে ফুল সাজানোর ছবিসহ একটি বই রাখলে ভালো হয়।

তাহলে ক্রেতা তা দেখে ঘর বা গাড়ি সাজানোর অর্ডার দিতে পারবে।

আর ফুল সাজানোর জন্য এ কাজে দক্ষ হতে হবে।

দুইভাবে এই ব্যবসা থেকে আয় করা যাবে। খুচরা ফুল, ফুল সাজানো ঝুড়ি বা তোড়া বিক্রয় করে তার বিনিময়ে টাকা নেয়া যাবে।

আবার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ক্রেতাদের নির্দেশ অনুযায়ী ঘর, বাড়ি বা গাড়ি সাজিয়ে দিয়ে তার বিনিময়ে ফুলের দাম ও মজুরি নেয়া যাবে।

সাবধানতা

সব সময় টাটকা ও সতেজ ফুল রাখতে হবে।

ফুলের দোকান সবসময় পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।

ফুলে যেন পোকা না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

আয় ও লাভের হিসাব

প্রতিমাসে ৩২০০ থেকে ৪০০০ টাকার ফুল কিনলে সব খরচ বাদ দিয়ে ফুল বিক্রয় করে ৬০০০ থেকে ৭০০০ টাকা আয় করা যাবে।

এতে প্রায় ৩০০০ টাকা লাভ করা সম্ভব। এছাড়া বিনিয়োগ ও বিক্রির উপর লাভক্ষতি নির্ভর করে তাই এক্ষেত্রে হিসাব শুধুমাত্র ধারণা দেবার জন্য।

সেক্ষেত্রে লাভের পরিমাণ কম বা বেশি হতে পারে।

স্থায়ী উপকরণগুলো একবার কিনলে অনেকদিন ধরে কাজ করা যাবে।

ব্যবসার শুরুতেই এ খরচটি করতে পারলে পরবর্তীতে শুধু কাঁচামাল কিনে ব্যবসা চালিয়ে নেওয়া সম্ভব।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন