বাড়িতে ঘি তৈরির ব‍্যবসা - Business Ideas

Latest

New Business Ideas, Business Plans, Online Business Ideas, Smart Business Ideas.

BANNER 728X90

বৃহস্পতিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

বাড়িতে ঘি তৈরির ব‍্যবসা

বাড়িতে ঘিয়ের কারখানা






সম্ভাব্য পুঁজি: 

25000 টাকা থেকে 75000 টাকা পর্যন্ত 

সম্ভাব্য লাভ: 

এক কেজি ঘি তৈরি করতে খরচ হয় 250-280 টাকা। 

প্রতি কেজি ঘি বিক্রি করা যায় 500 টাকা থেকে 750 টাকায়। 

সুবিধা: 

মুখরোচক রান্নার জন্য ঘি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি উপকরণ। 

প্রয়োজন যা: 

মাটির হাঁড়ি, শিল-পাটা, নাড়ার কাঠি, মাটির পাত্র বা মালসা এবং দুধ ও নানা সাইজের কৌটা। 

প্রস্তুত প্রণালি:



উপকরনঃ 

দুধের সর- ৫ কেজি পরিমাণ 

ঠাণ্ডা পানি- ২.৫ লিটার 

ঘি তৈরির জন্য যা লাগবে- 

মাটির পাত্র বা মালশা- ১টি (সর ঘুঁটার জন্য) 

শিল-পাটা- (সর বাটার জন্য) 

কাঠের চামচ বা খুন্তি- ১টি (সর ঘুঁটার জন্য) 

প্রনালিঃ 

প্রথমে দুধের সর নিয়ে নিন আর দুধের সর বাটার জন্য একটি পরিষ্কার শিল-পাটা নিন। 

এরপরে দুধের সর অল্প পরিমাণে করে শিল-পাটাতে নিয়ে বাটতে থাকুন। বাটার সময় পানি দেয়া যাবেনা। 

সরের পরিমাণ যেহেতু বেশি তাই একবারে সবটুকু একসাথে বাটতে যাবেন না। অল্প অল্প করে সর নিয়ে বেটে নিতে হবে। 

এবার একটি মাটির পাত্র বা মালশা নিয়ে নিন। তাতে বাটা সর থেকে অল্প অল্প করে নিয়ে কাঠের চামচ বা খুন্তি দিয়ে ঘুটতে থাকুন। 

এই প্রক্রিয়াটি যত দ্রুত সম্ভব ততো দ্রুত করতে হবে। 

ভাল করে ঘুটা হয়ে গেলে সর থেকে ক্রিম তৈরি হবে। 

এভাবে বাকি সর থেকেই ক্রিম তৈরি করে নিন। 

ক্রিম তৈরি হয়ে গেলে এর মধ্যে ঠাণ্ডা পানি দিতে হবে। 

ক্রিমের পরিমাণ অনুযায়ী পানি দিতে হবে। 

পানি দিয়ে ঘুঁটার পরে ক্রিম থেকে সাদা দুধের মত পানি বের হয়ে ক্রিম পরিষ্কার হয়ে ঘন ডো এর মত উপরে ভেসে উঠতে থাকবে। 

যখন ক্রিমের সবটুকু ডো পরিষ্কার হয়ে পানির উপরে উঠে আসবে তখন পানি থেকে ক্রিম ছেকে তুলে নিন এবং পানি ফেলে দিন। 

একবারে করা সম্ভব না হলে কয়েকবারে করতে হবে। 

এবার সবটুকু ক্রিমের ডো একটি পাতলা মসলিন কাপড়ের মাঝখানে রেখে ভাল করে বেধে ঝুলিয়ে দিন। 

এভাবে ঝুলিয়ে রাখলে ক্রিমের ডো থেকে সম্পূর্ণ পানি বের হয়ে যাবে। এভাবে কমপক্ষে এক থেকে দেড় ঘণ্টা রাখতে হবে। 

ক্রিমের ডো থেকে সম্পূর্ণ পানি বের হয়ে গেলে একটি লোহার কড়াই চুলায় দিয়ে গরম করে নিন। 

খেয়াল রাখবেন যেই পাত্রে ঘি তৈরি হবে তা যেন সম্পূর্ণরুপে পরিষ্কার থাকে। 

এবার গরম পাত্রে ক্রিমের ডো ঢেলে দিন। ডো দেয়ার পরে চুলার আঁচ কমিয়ে মধ্যম আঁচে রাখুন। 

ক্রিম চুলায় দেয়ার পরে অনবরত নাড়তে থাকুন। বেশ কিছুক্ষন নাড়ার পরে ক্রিম জ্বাল হয়ে তার মধ্যে থেকে তেল বের হতে থাকবে। 

এই তেলটাই হল আপনার কাঙ্ক্ষিত ঘি। তবে এখনও সম্পূর্ণরুপে ঘি তৈরি হইনি কিন্তু। 

সবটুকু ক্রিম যখন পুড়ে গিয়ে কালো হয়ে যাবে সেই সাথে ঘি গাড় হয়ে সুন্দর সোনালি রং ধারন করবে ও তা থেকে সুন্দর সুগন্ধ ছড়াবে তখন বুঝতে হবে এবার আপনার ঘি তৈরি হয়ে গেছে। 

এবার একটি পরিষ্কার ও শুকনা পাত্রে ঘি ছেঁকে নিতে হবে। 

ছাকার সময় খেয়াল রাখবেন পোড়া অংশ যেন ঘিয়ের মাঝে চলে না যায়। 

পাত্রের ঘি ঠাণ্ডা হয়ে গেলে বোতলে ভোরে ফেলুন এবং ফ্রিজারে করে সংরক্ষন করুন। 

এভাবে সংরক্ষন করলে আপনার বানানো ঘি অনেকদিন পর্যন্ত ঠিক থাকবে। 

আপনার সর ঘুঁটানো ও ক্রিম জ্বাল দেয়ার উপরে নির্ভর করবে আপনি কতখানি ঘি তৈরি করতে পারবেন। 

তবে ৫ কেজি দুধের সর থেকে ১ থেকে দেড় কেজি মত ঘি তৈরি করা সম্ভব। 

সতর্কতাঃ 

★ ঘি প্রস্তুত করার আগে খেয়াল রাখবেন সর শিল-পাটাতেই বাটতে হবে। 

★ ব্লেন্ডারে দিয়ে ব্লেন্ড করতে পারেন, তবে তা বাটা সরের মত মোলায়েম হবেনা। 

★ সেই সাথে মাটির পাত্রই ব্যাবহার করবেন। স্টিল বা অন্যান্য তৈজসপত্র ব্যাবহার করলে ক্রিম নষ্ট যেতে পারে। 

★ সেই সাথে পানি ছেকে নিতে হবে ভাল করে যেন কড়াইতে দেয়ার সময় পানি না থাকে ক্রিমের মধ্যে একটুও। 

বাজারজাতকরণ: 

পাড়ার মুদি দোকান থেকে শুরু করে সুপার শপে এ ঘি সরবরাহ করা যাবে। 

এ ছাড়া পরিচিত আত্মীয়-বন্ধুরাও এর ক্রেতা হয়। 

যোগ্যতা: 

বিশেষ কোনো যোগ্যতার প্রয়োজন হয় না। 

ঘি বিক্রি করেন এমন কারো কাছ থেকে দু-তিন দিন ঘি তৈরি  শিখে নিয়ে ঘি বানানো যায়। 

সাধারণত মিষ্টি বিক্রি করেন এমন দোকান গুলোই ঘি বিক্রি করে।



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন