মোমবাতি তৈরি ব‍্যবসা - Business Ideas

Latest

New Business Ideas, Business Plans, Online Business Ideas, Smart Business Ideas.

BANNER 728X90

বুধবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

মোমবাতি তৈরি ব‍্যবসা

 

💥মোমবাতি তৈরি ব্যবসা





দৈনন্দিন কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন উপকরণের মধ্যে মোমবাতি অন্যতম। 

কম খরচের মধ্যে আলো পেতে মোমবাতি খুবই উপকারি পণ্য। 

কাঁচামাল হিসেবে প্যারাফিন ব্যবহার করে খুব সহজে মোমবাতি তৈরি করা যায়। 

বর্তমান সময়ে প্রয়োজনীয় সময়ে আলো দানের পাশাপাশি বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব, এমনকি শো পিস হিসেবেও নানা রঙ ও আকৃতির মোমবাতি ব্যবহার করা হচ্ছে। 

একজন বেকার নারী বা পুরুষ নিজের উপজনের জন্য মোমবাতি তৈরির ব্যবসা শুরু করতে পারেন। 

বাজার সম্ভাবনা



গ্রাম বা শহর সব জায়গার মানুষ মোমবাতির ব্যবহার করে। 

মোমবাতি তৈরি করে নিজ এলাকা বা এলাকার বাইরে মুদি দোকান গুলোতে পাইকারী দরে বিক্রি করা যেতে পারে। 

সাধারণত বিভিন্ন আকৃতির নকশা করা নানা রঙের মোমবাতির চাহিদা মূলত: শহরেই বেশি দেখা যায়। 

এ জাতীয় মোমবাতি শহরের সৌখিন পণ্য বিক্রির দোকানে সরবরাহ করা যেত পারে।

        মূল ধন

    অনুমানিক 9000-10000  টাকার স্থায়ী উপকরণ এবং 900-1000 টাকার কাঁচামাল কিনে মোমবাতি তৈরির ব্যবসা শুরু করা সম্ভব। 

প্রশিক্ষণ

প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ গ্রহণের জন্য মোমবাতি তৈরীতে অভিজ্ঞ এমন কোন ব্যক্তি, স্থানীয় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক, 

যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ও বিভিন্ন বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে পরিচালিত প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে যোগাযোগ করা যেতে পারে। 

দরকারি জিনিসপত্র



স্হায়ী কাঁচামাল এগুলো কোথায় পাওয়া যাবে কাচামালের আনুমানিক দাম (টাকায়) 

ডাইস * মোমবাতি তরির কারখানায় * ৭,৫০০.০০ 

কড়াই * থালা-বাটির দোকানে ১২০.০০ 

পাত্র * থালা-বাটির দোকানে ৬০.০০ 

ছুরি * থালা-বাটির দোকানে ২৫.০০ 

কাঁচি * থালা-বাটির দোকানে ৫০.০০ 

চামচ * থালা-বাটির দোকানে ৬০.০০ 

মগ * থালা-বাটির দোকানে ১০.০০ 

বালতি * থালা-বাটির দোকানে ৬০.০০ 

তুলি * রঙের দোকানে ২০.০০ 

স্টোভ * থালা-বাটির দোকানে ১০০.০০ 

মোট = ৮,০০৫.০০ 

প্রথম ধাপ 

মোম তৈরির ডাইস বা ছাঁচের দুটি অংশ একটি ছিঁটকিনি দিয়ে আটাকানো থাকে। 

এবং ডাইসের ভিতরে মোমবাতি আকৃতির কতগুলো খাঁজ থাকে। 

প্রথমে ডাইসের ছিটকিনি খুলে ছাঁচের দুইটি অংশ আলাদা করতে হবে। 

এরপর একটি কাপড়ে তেল নিয়ে ডাইসের ভিতরে থাকা খাঁজগুলো ভালো ভাবে মুছে নিতে হবে, যাতে করে মোমগুলো খুব সহজে বের করা যায়। 

দ্বিতীয় ধাপ 

ছাঁচের মধ্যে সলতে পরানোর জায়গা রয়েছে।

সলতেগুলো উপর থেকে নিচ পর্যন্ত টান টান করে বেঁধে দিতে হবে। 

তৃতীয় ধাপ 

এরপর ছাঁচের ২টি অংশ এক সাথে আটঁকে দিতে হবে এবং ছাঁচের সাথে লাগানো পানির ট্যাংকে পানি ভরতে হবে। 

কারণ পানি ভরা থাকলে গরম মোম ঠান্ডা হতে সহজ হয়। 

চতুর্থ ধাপ 

এবার চুলায় কড়াই বসাতে হবে। কড়াই গরম হলে তার মধ্যে সাদা শক্ত মোম (প্যারাফিন) দিতে হবে। 

মোম পুরোপুরি গলে যাবার আগেই কড়াইতে ১০ ভাগ মোমের সাথে ১ ভাগ স্টিয়ারিক এসিড মিশাতে হবে। 

পঞ্চম ধাপ 

প্যারাফিন গলে যাবার পর বেশিক্ষণ চুলায় রাখা যাবে না। 

কারণ গলে যাওয়া প্যারাফিন বাষ্প হয়ে উড়ে যেতে পারে। 

ষষ্ঠ ধাপ 

গলা মোম মগে বা চামচে করে আস্তে আস্তে মেশিনের খাঁজগুলোতে ঢালতে হবে। 

সপ্তম ধাপ 

মোম ঢালার খাঁজটি যতক্ষণ না পুরোপুরিভাবে ভরবে ততক্ষণ পর্যন্ত মোম ঢালতে থাকতে হবে। 

এক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হবে যে, মোম ঢালার সময় খাঁজের ভেতরে যেন কোন ফাঁকা থেকে না যায়। 

অষ্টম ধাপ 

২০২৫ মিনিট পর মোমগুলো ঠান্ডা হলে ছাঁচের ২টি অংশ আলাদা করে মোমগুলো বের করে আনতে হবে। 

নবম ধাপ 

এবার মোমের সলতের বাড়তি অংশগুলো সাইজ মত কাটতে হবে এবং মোমবাতি ভালোভাবে বসানোর জন্য নিচের অংশের তলাটি সমান করে কাটতে হবে। 

বিভিন্ন আকৃতির নকশা করা মোম তৈরির জন্য সেই অনুযায়ী ছাঁচ তৈরি করতে হয়। 

সাবধানতা



মোমবাতি তৈরি করার ক্ষেত্রে কিছু বিষয়ে সর্তক থাকতে হবে- 

★ স্টিয়ারিক এসিড মোমের সাথে মেশানোর সময় সাবধান থাকতে হবে। 

★ মোমে যদি আগুন ধরে যায় তবে সঙ্গে সঙ্গে চুলা নিভিয়ে ঢাকনা দিয়ে কড়াই ঢেকে দিতে হবে। 

★ চুলার উপর কড়াই থাকা অবস্থায় রং মেশানো যাবে না, চুলা থেকে নামিয়ে রং মেশাতে হবে। 

★ মোম তৈরির কাচামাল থেকে ও তৈরির সময় শিশুদের নিরাপদ দূরত্বে রাখতে হবে। 

        মোট লাভভাংশ


আমরা হিসাব করে  দেখি যে একটি 5 টাকার মোমবাতি তৈরি করতে খরচ হবে 1টাকা। এক্ষেত্রে প্রতিটি মোমবাতি 4টাকা দরে দোকানে বেচা যাবে। এক্ষেত্রে প্রতিটি মোমবাতি প্রতি 3টাকা লাভ হবে। কোন ব‍্যাক্তি যদি দিনে 500টি মোমবাতি তৈরি করে তবে লাভ হবে 500×3=1500টাকা।

1 টি মন্তব্য: