মাটির গহনা তৈরি ব্যবসা
বর্তমান যুগে নারী দের কাছে মাটির গহনার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
যে কোনো উৎসব যেমন- পহেলা বৈশাখ, পহেলা ফাল্গুন, ধর্মীয় অনুষ্ঠান ইত্যাদিতে মাটির গহনার চাহিদা বেশি দেখা যায়।
এসব উৎসব উপলক্ষে যে মেলা বসে সেখানে মাটির গহনার বিক্রির পরিমাণও বেশি দেখা যায়।
বর্তমানে বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে মেয়েদের গহনা তৈরি করা হচ্ছে যেমন-ফলের বীচি, শামুক, ঝিনুক, কড়ি, মাটি ইত্যাদি।
মাটির তৈরি রঙ-বেরঙের এ গহনাগুলো দেখতে যেমন সুন্দর দামও তুলনামূলকভাবে কম।
মাটির গহনা তৈরির ব্যবসার মাধ্যমে যে কোন ব্যক্তি স্বাবলম্বী হতে পারে।
বাজার সম্ভাবনা
যে কোন উৎসব যেমন- পহেলা বৈশাখ, পহেলা ফাল্গুন, ধর্মীয় অনুষ্ঠান ইত্যাদিতে মাটির গহনার চাহিদা বেশি দেখা যায়।
এসব উৎসব উপলক্ষে যে মেলা বসে সেখানে মাটির গহনার বিক্রির পরিমাণও বেশি দেখা যায়।
ঢাকাসহ সারা দেশে বিভিন্ন বুটিক শপ গুলোতে মাটির গহনা সরবরাহ করা সম্ভব।
এছাড়া কসমেটিক বিক্রির দোকানগুলোতেও মাটির গহনা সরবরাহ করা যেতে পারে।
মূলধন
আনুমানিক 20000-30000 টাকা মূলধন নিয়ে ছোট আকারে মাটির গহনা তৈরি ব্যবসা শুরু করা সম্ভব।
এ ব্যবসা শুরু করতে যদি নিজের কাছে প্রয়োজনীয় পুঁজি না থাকে তবে ঋণদানকারী বিভিন্ন ব্যাংক, সরকারী বা বেসরকারী প্রতিষ্ঠান (এনজিও) থেকে স্বল্প সুদে ঋণ নেয়া যেতে পারে।
এ সকল সরকারি ও বেসকারি ব্যাংক এবং বেসকারি প্রতিষ্ঠান (এনজিও) শর্ত সাপেক্ষে ঋণ দিয়ে থাকে।
প্রশিক্ষণ
মাটির গহনা তৈরি প্রশিক্ষণের জন্য পশ্চিমবঙ্গের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন কেন্দ্রে যোগাযোগ করা যেতে পারে।
এখানে ৩ মাস মেয়াদী কোর্স ব্যবস্থা চালু আছে।
এসব প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থের বিনিময়ে প্রশিক্ষণ নেয়া সম্ভব।
এছাড়া গহনা তৈরিতে অভিজ্ঞ এমন কোন ব্যক্তির কাছ থেকে শিখে নিয়ে এ ব্যবসা শুরু করা সম্ভব।
কাঁচামাল
মাটির গহনা তৈরি করতে এঁটেল মাটির প্রয়োজন হয়।
গহনার আকার এবং কি পরিমাণ গহনা তৈরি করা হবে তার উপর নির্ভর করে মাটি ও পানির পরিমাণ।
সেক্ষেত্রে প্রয়োজন অনুযায়ী এঁটেল মাটি সংগ্রহ করতে হবে।
মাটির গহনা তৈরির নিয়ম
১ম ধাপ
লাল এঁটেল মাটি পানি দিয়ে নরম করে নিতে হবে।
২য় ধাপ
নির্দিষ্ট পরিমাণ মাটি দিয়ে গোল বা চেপ্টা বানিয়ে নিতে হবে।
৩য় ধাপ
এবার নির্দিষ্ট ছাঁচ নিয়ে গোল বা চেপ্টা করা মাটিতে চাপ দিয়ে ডিজাইন করতে হবে।
৪র্থ ধাপ
এরপর এগুলো চুলায় পোড়াতে হবে। মাটির গহনা পোড়ানোর জন্য বিশেষ ধরণের চুলার দরকার হয়।
বড় আকারের চুলার মধ্যে শিক লাগানো থাকে। সে শিকের উপর গহনা রেখে নিচে ধানের তুষ বা কাঠ দিয়ে আগুন জ্বালানো হয়।
ফলে গহনাগুলো পুড়ে লালচে হয়ে যাবে।
৫ম ধাপ
এর পর গহনাগুলো বিভিন্ন রঙ ও ডিজাইন করতে হবে এবং সুতা ও চিকন তার দিয়ে গলায় পরার উপযোগী করতে হবে।
আনুমানিক আয় ও লাভের পরিমাণ
প্রতিপিস গহনা পাইকারী দরে বিক্রি হয়
15 টাকা
প্রতিপিসি গহনা বানাতে খরচ
9টাকা
লাভ=6 টাকা
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন